সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কালীপুজোর আগেই উদ্বোধনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির কাজ পরিদর্শনে গেলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেওয়ার পরে তিনি অনুমোদন দিলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণেশ্বরের আদলে এবার স্কাইওয়াক কালীঘাটে! মন্দির লাগোয়া এলাকার চেহারা বদলে গিয়েছে। দেখে চেনার উপায় নেই। মন্দিরের সামনে যে স্টল ও ডালা বসত, সেগুলি সরে গিয়েছে মন্দিরের নতুন কমপ্লেক্সে।
পাশেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড থেকে একেবারে মন্দিরের সামনে পর্যন্ত স্কাইওয়াক তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। মন্দির অবশ্য় একদিন বন্ধ রাখা হয়নি।
দক্ষিণেশ্বের স্কাইওয়াক তৈরির পরই মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন কালীঘাটেও যেন অতি দ্রুত একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়। ৫০০ মিটার লম্বা ও ১০.৫ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াকে থাকবে দুটি লেন। থাকবে ৪টি এসকালেটর, দুটি ব্রাঞ্চ। একটি নামবে মন্দিরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে পুলিস কিয়স্কের কাছে, আর একটি কালীঘাট দমকল অফিসের দিকে থানার কিছু আগে।
কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এসপি মুখার্জি রোড, মহিম হালদার স্ট্রিট, গুরুপদ হালদার পাড়া রোড, সদানন্দ রোড এবং কালী টেম্পল রোড— এই পাঁচটি জায়গা দিয়ে স্কাইওয়াকে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ রাখা হয়েছে।
কিন্তু হকার সমস্যার কারণে কাজ শুরু হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত মন্দিরের সামনে হকার্স কর্নারটি হাজরা পার্কে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় পুরসভা। এরপরই ২০২২ সালে শুরু হয় স্কাইওয়াকের কাজ। স্কাইওয়াক তৈরি হয়ে গেলে তাঁদের আবার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি, ভূগর্ভস্থ একাধিক পাইপলাইন সরাতে গিয়েও সমস্যা হয়। প্রকল্পের খরচও বাজেটের ৩৩০ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা হয়েছে। রাস্তায় মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া, নতুন আলো এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বাড়তি এই খরচ বলে খবর।