রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর আবহে অগস্ট মাসের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) আক্রমণের মুখে পড়েছেন একাধিক তারকা। তাতে যেমন রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়(Swastika Mukherjee), মৌসুমী ভট্টাচার্য, তেমনই শ্রীলেখা মিত্রও।
কদিন আগেই শ্রীলেখা তাঁর ফেসবুকে কুণাল ঘোষের একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এই লোকটি কেন? উনি কি এই পৃথিবীর উপর অতিরিক্ত বোঝা নন?’
বোঝা যাচ্ছে, সোমবারে শ্রীলেখার করা সেই পোস্ট একেবারেই এড়িয়ে যায়নি কুণালের নজর। তিনিও জবাব দিলেন। তবে তাঁর জবাব এল একদিন পর বুধবারে। তৃণমূলের মুখপাত্র এবার অবশ্য কারও নাম নেননি। কিন্তু আকার ইঙ্গিতে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর নিশানায় কে!
কুণাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেয়া নেয়া বা ছদ্মবেশী ছবিতে ড্রাইভারের ছবিতে কী অপূর্ব অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ড্রাইভারের সঙ্গে যেন কীসব বাধিয়েছিলেন এক বিপ্লবী অভিনেত্রী। জল বহুদূর গড়ায় সেবার। কাগজেও বেরিয়েছিল। কপালে যে কী-লেখা!!!’
এতে কুণালের অনেক অনুরাগীরাই মন্তব্য করেছেন, ‘বিশ্রীলেখা’! আবার একজন প্রশ্ন করেন, ‘ইনি কে! কিছুই তো বুঝলাম না’। তাতে আরেকজন বুঝিয়ে দেন, ‘শেষ লাইনটা মন দিয়ে দেখুন’। তাতে আবার সেই প্রথম ব্যক্তি লেখেন, ‘এবার বুঝেছি’!
গাড়ির চালককে নিয়ে কোনো বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রীলেখা?
২০০৪ সালের জুন মাসের ঘটনা। রবিন নামে এক ব্যক্তি শ্রীলেখার জন্য ঢুঁ মারতে শুরু করেন টলিউডের সেটে। রাত বিরেতে ফোন করে বিরক্তও করতে থাকেন। আর রবিন একা নন, তিনি সেই সময় সঙ্গে আনতেন তাঁর দলবদলও। সেই সময় শোনা যায়, রবিন একসময় শ্রীলেখার গাড়ি চালাতেন। কিন্তু কোনো এক কারণে সেই রবিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন অভিনেত্রী। আর তারপরই ওই ব্যক্তি বিরক্ত করা শুরু করে শ্রীলেখাকে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি পুরনো প্রতিবেদন অনুসারে, রবিনের দাবি ছিল শ্রীলেখা তাকে ‘বিশ্বাস’ করুক এবং তার অস্বাভাবিক আচরণ সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ করুক, বিশেষ করে যখন অভিনেত্রী গভীর রাতের শিফট থেকে বাড়ি ফেরেন।
জল এত দূর গড়ায় যে সেই সময় লেক থানায় হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছিেন (জিডি এন্ট্রি নম্বর 1180) শ্রীলেখা প্রাক্তন গাড়ি চালকের নামে।