শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“পুলিশ বনাম বিজেপির ভোট হয়েছে।” এভাবেই বুধবার বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগ্ৰহণ সম্পন্ন হওয়ার পর জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ বুধবার রাজ্যের ৫ জেলার সঠিক বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হলো । সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে । তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তবে সব মিলিয়ে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোট শেষে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা । তার কথায় আজকের উপনির্বাচনের ভোট হলো ‘পুলিশ বনাম বিজেপির লড়াই’ ।
হাওড়ার শ্যামপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পুলিশ বনাম বিজেপির ভোট হয়েছে। শুধু হাড়োয়াতে আইএসএফ এবং সিপিএম লড়াই করার চেষ্টা করেছিল। তবে খুব একটা পারেনি। হাড়োয়ার হিন্দু এলাকাগুলোতে বিজেপি লড়েছে। আর বাকি জায়গায় বিজেপির কর্মীরা লড়াই করেছেন। পুলিশ গতকাল বিকাল থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা, ভয় দেখানো, চমকানো, থানায় বসিয়ে রাখা… মেদিনীপুরে তো আমাদের রাজ্য কমিটির সদস্য ধীমান কোলে গ্রেপ্তার হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফরওয়ার্ড করেছে। পুলিশ ২৫ জনের বেশি পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। ওখানে ধৃতিমান বলে একটা ভাইপোর চাকর আছে সেই করিয়েছে। আর দাঁতনের নেতা রুদ্রাংশ বেরাকে হেফাজতে নিয়েছে । ওর স্ত্রী হাইকোর্টের রিট পিটিশন দাখিল করেছে।”
শুভেন্দু বলেন, “ঠিক একইভাবে একজন আদিবাসী প্রার্থী রাহুল লোহার, তার গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে এবং তার সঙ্গে থাকা লোকদের আক্রমণ করা হয়েছে, এভাবে সন্ত্রস্ত করা হয়েছে। তারপরেও আমরা রিপোর্ট নিচ্ছি।” তবে তিনি বলেন যে গত চারটি উপনির্বাচনে তৃণমূল যেভাবে হিন্দু ভোটারদের আটকে ছিল এবার আংশিকভাবে হয়তো সফল হয়েছে। কিন্তু একই কায়দায় রানাঘাট, বাগদা, রায়গঞ্জের মত এলাকায় সম্পূর্ণ হিন্দু ভোটকে আটকাতে পারেনি। হিন্দুরা প্রায় ৭০ শতাংশ বেরিয়ে ভোট করার চেষ্টা করেছেন।”
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ইলেকশন কমিশন, অবজারর্ভার এবং এখানকার সিইও, মমতার ক্যাডার আজিজ আক্তারের ভূমিকা অত্যন্ত জঘন্য ছিল। সেন্ট্রাল পুলিশের ভূমিকা ভালো ছিল। বিশেষ করে তালডাংরা ও মেদিনীপুরে এবং কিছুটা নৈহাটিতে। কিন্তু সিতাই, হাড়োয়ায় আমরা সেন্ট্রাল ফোর্স এর ভূমিকা দেখতে পাইনি।”
এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আসল নির্বাচন ২০২৬ সালে হবে। আমাদের রাষ্ট্রবাদী এবং সনাতলীদের কাছে ২০২৬ সালের নির্বাচন হলো ‘ডু অর ডাই’। আর আমরা সেটা করে দেখাবো। মানুষ জোট বাঁধছেন।”