সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
সদ্য উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। গত সপ্তাহে হয়েছে সবুজ ঝড়। নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট রুখতে প্রতিটি সরকারের আমলেই বিরোধীরা সরব হয়। মমতার সরকারের আমলেও তা বাদ যায়নি। কলকাতা পুরভোট হোক কিংবা পঞ্চায়েত ভোট-প্রতিটি ভোটেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হয়েছে। অতীতে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন নয়, কেন রাজ্য পুলিশ-তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক ও ব্যাখ্যা দুইই হয়েছে। এবার উপনির্বাচনে ৬ কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বলাইবাহুল্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে ফের ফিরল বিস্ফোরক মন্তব্য। ‘ছাপ্পা ভোটে দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি’, উপনির্বাচনে সবুজ ঝড় নিয়ে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার !
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানেন না, ২০২১ সালে ৫৪ হাজার ভোটে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন। ওর কেন্দ্রে ৭ হাজার ভোটের মাত্র গ্যাপ আছে। বড় বড় কথা, উপনির্বাচন ! উপনির্বাচন কী হয় পশ্চিমবাংলায় মানুষ জানে।”
এই উপনির্বাচনে দলের ফলাফল নিয়ে শুভেন্দু আগেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলায় উপনির্বাচনে ভোটই হয় না। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি!’ পাশাপাশি তাঁর এও মন্তব্য ছিল, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি যুক্ত থাকেন না, তবে কোন কোন জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে তা তিনি নিজের উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এমন মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী হারের দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট কথা, সিতাই এবং হাড়োয়াতে কখনও জিতবে না বিজেপি। বাকি চার কেন্দ্রে আসন্ন বিধানসভা ভোটে আবার গেরুয়া ঝড় দেখা যাবে। কিন্তু বাকি দুই জায়গা নিয়ে কী সমস্যা? সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, ”সিতাই আর হাড়োয়া আমরা কখনও জিতব না। সিতাইয়ে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট একসঙ্গে ভোট দেয়। মুসলিম লীগ ২ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর হাড়োয়াতে ৮০ শতাংশ মুসলমানও মমতাকেও ভোট দেয়।”
সোমবার অবশ্য ফের একই দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। শাসক দলের কর্মী-সমর্থক, নেতাদের মূর্খ, গাধা বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, ”তৃণমূলের গাধাগুলো জানে না, ২০১৯ সালে মমতা এবং অভিষেক বাড়ি থেকে বের হননি। আমি কালিয়াগঞ্জ-খড়গপুর তৃণমূলকে জিতিয়েছিলাম। সেই আসন ২০২১ সালে বিজেপি জিতেছে।” তিনি আরও বলেন, ‘২১ সালেই তৃণমূলের জেতা শান্তিপুরের আসন থেকে ‘২৪ সালে জগন্নাথ সরকার ৩০ হাজারের লিড নেন। তাই এসব গল্প বলে লাভ নেই বলে দাবি শুভেন্দুর।