প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
স্কুলের বোর্ডের লেখা ঝাপসা দেখছে সন্তান, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া। চোখ থেকে হঠাৎ অত্যধিক জল পড়ছে বা আলোর দিকে তাকালে চোখে ব্যথা করা। অনেক সময় চোখের পাতা এঁটে গিয়ে চোখ খুলতে না পারার মতো সমস্যা ছোটদের হয়। কোনভাবেই তা এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় নয়।দীর্ঘদিন কোনও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে, চোখে কোনও আঘাত পেয়ে থাকলে বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলেও শিশুর গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, বাচ্চাদেরও হতে পারে গ্লুকোমা। এমনকি জন্মের সময় থেকেই গ্লুকোমা দেখা দিতে পারে। তবে তা খুবই বিরল। চিকিৎসকদের মতে, ১০ হাজার জনের মধ্যে এক জন জন্মগত ভাবে গ্লুকোমার শিকার হন। ‘জুভেনাইল গ্লুকোমা’ নামক আর এক প্রকার গ্লুকোমা শিশুর দশ বছর বয়স পর্যন্ত হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোমা ধরা পড়লে এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করুন এই পানীয় যা শিশুর গ্লুকোমা হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
একটি কলাকে স্লাইস করে কেটে নিন, সঙ্গে একটি গোটা কমলালেবু্ ও গাজর টুকরো করে কেটে নিন। সমস্ত উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে নিন। আপনার সন্তানের স্মুদি। তৈরি। খাওয়ার আগে এক চামচ অলিভ অয়েল ইচ্ছে মতো দিতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন দু’বেলা খাওয়ার আধঘন্টা আগে বাড়ির খুদেকে দিন এই পানীয়।
কলায় উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে আয়রন অ্যানিমিয়া দূর করতে অব্যর্থ, ব্রেনের নার্ভকে ভাল রাখে ও রক্তাল্পতা দূর করতে পারে।কমলালেবুতে ভিটামিন সি ছাড়াও ফাইবার, পটাশিয়াম ও অনেক ম্যাগনেসিয়াম আছে। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন সি চোখের কর্নিয়ায় কোলাজেন তৈরি করে এবং রক্তনালীগুলির স্বাস্থ্য বজায় রাখে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। কমলালেবুতে থাকা জেক্সানথিন হল এক ধরনের ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গাজরে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এগুলি চোখকে ক্ষতিকর আলো এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
শিশুদের মধ্যে গ্লুকোমার কোনও একটি লক্ষণও দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। গ্লুকোমার সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। অনলাইনে পড়াশুনো, মোবাইল ফোনে মগ্ন হয়ে থাকা, সবুজ মাঠে খেলাধুলো করতে না পারা সব মিলিয়ে শিশুদের চোখের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।