ফুলবাড়ি ২৭নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু চিতার। বৃহস্পতিবার সাত সকালে জাতীয় সড়কের উপর বেশ কিছুক্ষণ কাতরে মৃত্যু হয় একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘের। ঘটনার সাক্ষী শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বাকুলাইন এলাকা।
বাকুলাইন এলাকায় জাতীয় সড়ক ২৭ এর উপর দিয়ে পারাপার করছিল চিতাটিকে আচমকা কোনো গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে চিতা বাঘটিকে। গাড়ির ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে চিতা বাঘটি। পথচলতি এক সবজি বিক্রেতার নজরে আসে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা চিতা বাঘটিকে। রক্তের তো অবস্থায় জাতীয় সড়কের ওপর কাঁতরাতে থাকে যন্ত্রনায় বেশ কয়েক মিনিট চিতা বাঘটি।
এরপরই স্থানীয়রা খবর দেন ঘোষপুকুর বনদপ্তরকে এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মীরা। বন কর্মীরা এসে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করে প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিতা বাঘটি পেছনের অংশ পা ও লেজের দিকে আঘাত গুরুতর হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে চিতাবাঘ টিকে ময়নাতদন্তের জন্য বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ির ধাক্কায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে চিতাটির বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এদিকে বনদপ্তরে তরকে বেপরোয়া ঘাতক গাড়িটির খোঁজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কার্শিয়াং ডিভিশনে ডিএফও দেবেশ পান্ডে জানান গাড়িটির খোঁজ চলছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গাড়ির গতিবেগ বেশি ছিল যার জেরেই এই দূর্ঘটনা। তিনি জানান বন্যপ্রানীদের ও বনাঞ্চল লাগোয়া সমস্ত জাতীয় সড়ক এবং মুখ্য সড়কগুলিতে গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রিত রাখার নির্দেশ রয়েছে। চালকদের সচেতন করা হয় বারংবার তবে তারপর এ ধরণের বেপরোয়া গতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে চলতি বছরই আগস্ট মাসে কমলা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় আরো একটি চিতার গাড়ির থাকতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ফলে বন দপ্তরের সক্রিয়তা বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে আসছে।