কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুনের (TMC Leader Killed) অভিযোগ। দক্ষিণ বৃন্দাবনচকের গিরির বাজারে দোকান থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসকদলের। অন্যত্র নিয়ে গিয়ে খুন করে তাঁর দেহ দোকানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করার জেরেই বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপি ধমকানি চমকানি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিন বিজেপির নেতাদের (BJP Leaders) নাম ধরে ধরে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপি নেতা সাহেব দাস, ভোলানাথ কামিলা, অনুপ মাইতি-সহ একাধিক নেতৃত্ব কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, মৃত কর্মীর মহাদেব বিষয়ী। তাঁর বয়স ৫২ বছর। গোকুলনগর এলাকায় তাঁর বাড়ি। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি। বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সারারাত নিখোঁজ থাকার পর সকালে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে তৃণমূলের চাপানো অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝামেলার জেরেই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। দেহের ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে পুলিশের বড় কর্তাদের সেখানে আসতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারির দাবিতে পুলিশের সামনেই স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ জনতা ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মৃত কর্মীর দেহে ক্ষত ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
১৭ দিনের ব্যবধানে ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ। এর আগে কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর জালপাই এলাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে। তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।