সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের জীবন বিপন্ন করে ট্রেনের চাকার নিচে বসে ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। ট্রেনের রোলিং চেকিংয়ের সময়, ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন বিভাগের কর্মীরা বগির নিচে ট্রলিতে লুকানো একজন ব্যক্তিকে খুঁজে পান। তাকে দেখে মুহূর্তের জন্য কর্মকর্তারা এমন ঠান্ডায়ও ঘেমে গিয়েছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যুবকের কাছে টিকিটের টাকা ছিল না, তাই সে এমন ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইটারসি থেকে জবলপুর পৌঁছালেন তিনি
রেলওয়ের কর্মীরা স্টেশনে কোচের নিচের গিয়ারের পরীক্ষা করছিলেন, তখন তারা এস-৪ কোচের নিচে ট্রলিতে লুকানো একজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে তাকে বের করেন। ঘটনাটি দেখে উপস্থিত লোকেরা হতবাক হয়ে যান। ঘটনার পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কর্মকর্তারা বলেন, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত, তাহলে এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারত। যখন রেলওয়ের কর্মীরা তাকে সফরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি নির্ভয়ে জানান যে তার কাছে টিকিট কেনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা নেই, তাই তিনি এই বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কোনো ভয় ছাড়াই তিনি দানাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এস-৪ কোচের চাকার নিচে বসে লুকিয়ে জবলপুর পৌঁছে যান।
যুবকটি জানায় যে তিনি ইটারসি থেকে ট্রলির নিচে লুকিয়ে এখানে এসেছেন। রেল প্রশাসন এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং বলেছে যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ঘটনাটি কর্মকর্তাদের ও পুলিশের জন্যও বিস্ময়কর ছিল। রেলওয়ে কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুবকটিকে ধরে তাকে ওয়াগন বিভাগে হস্তান্তর করেন।