সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“এই সেতু কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করে দেওয়ার কথা। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমায় কথা দিয়েছিলেন এই সেতু তৈরি করে দেবেন। কিন্তু কথা রাখেননি। তাই আমরাই গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি করে দেবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিপিআর হয়ে গিয়েছে। টেন্ডারও পেয়ে গিয়েছে।” আসন্ন গঙ্গা সাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে এসে এভাবেই আরো একবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গাসাগরে পুন্যার্থীদের জন্য সেতু তৈরীর উদ্যোগ না নিলেও রাজ্য সরকার যে সম্পূর্ণ নিজস্ব কোষাগার থেকে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্থলভাগের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে যেতে চলেছে সাগরদ্বীপ।
এই সেতু আগামী চার বছরের মধ্যে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর। আর এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে পুণ্যার্থীদের বিরাট উপকার হবে। আগামী ২০২৯ সালের জানুয়ারি মাসে যখন পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর মেলায় আসবেন তখন কলকাতা থেকে সোজা গাড়ি নিয়ে কপিল মুনির আশ্রম পর্যন্ত চলে আসতে পারবেন।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অনুদান দেন না বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কুম্ভমেলায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্র। যেখানে এক কোটির মতো মানুষ গঙ্গাসাগরে এলেও কোনও সাহায্য করা হয় না বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলাম এখানে সাহায্য করতে। যাতে এখানে আসা পুণ্যার্থীরা সহজে পরিষেবা পেতে পারেন। ওদের দিকে তিন-চার বছর তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা টাকা দেয়নি। মানে আর দেবেও না। তাই আমরাই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”