শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
সন্দেশখালিতে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। বুধবার ছিল এই মামলার শুনানি। আর এই ঘটনায় এখনই নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি। সেইদিন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। এ দিন, রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত এগিয়েছে। চার্জশিট দেওয়া হবে।
সন্দেশখালির মাঝেরপাড়ার ওই বধূ গত ১৫ এপ্রিল সন্দেশখালি থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, সন্দেশখালি ২ ব্লক তৃণমূল সভপতি দিলীপ মাইতির নেতৃত্বে মাথায় বন্দুক ধরে তাঁকে গণধর্ষণ করেছিল তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। নির্যাতিতা জানান, এফ আই আর করার পরেও পুলিশ ঘটনার তদন্তে তৎপরতা দেখায়নি। এর পর আমি একটা ডায়েরি করি তাতেও কাজ হয়নি।
সোমবার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চান নির্যাতিতা। আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি। মঙ্গলবার দায়ের হয় মামলা। তাতে নির্যাতিতা জানান, ওই ঘটনার তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। উলটে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন তিনি। বুধবার ছিল মামলার প্রথম শুনানি।
নির্যাতিতা বলেন, “আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমায় থ্রেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। উনি অসামাজিক। এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”