শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
রাজ্যের যে কোনও জেলার ব্যক্তি তার সুবিধামতো সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জমি বা জায়গার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এর জন্য রাজ্য সরকার “এক রাজ্য এক নিবন্ধন” উদ্যোগ চালু করবে এবং তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
রাজ্যের প্রতিটি তালুকায় সাধারণত জায়গা বা জমি এবং বাড়ি কেনাবেচার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিস রয়েছে। তবে বর্তমানে এই অফিসগুলির কাজকর্ম নির্দিষ্ট তালুকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। একটি তালুকের ব্যক্তি অন্য তালুকের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করতে পারেন না। অনেক সময় এই অফিসগুলির বাইরে অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়, যার ফলে লেনদেনে দেরি হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। তবে “এক রাজ্য এক নিবন্ধন” সিদ্ধান্তের কারণে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসগুলির বাইরে ভিড় কমবে।
এছাড়া, ক্রয়-বিক্রয়ের সময়ও কমবে, লেনদেন বাড়বে এবং রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। স্ট্যাম্প ডিউটি বিভাগ রাজস্ব বিভাগের সাহায্যে “এক রাজ্য এক নিবন্ধন” প্রকল্প কার্যকর করতে শুরু করেছে এবং প্রাথমিকভাবে একটি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি চালু করা হবে। এরপর এটি রাজ্যব্যাপী কার্যকর হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণায় বলেছেন, “এক রাজ্য এক নিবন্ধন” উদ্যোগের অধীনে যে কোনও ব্যক্তি রাজ্যের যে কোনও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জমি বা জায়গার ক্রয়-বিক্রয়ের নথি তৈরি করতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে বিভাগ ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে পরিকল্পনা শুরু করেছে এবং আসন্ন নতুন অর্থবছর থেকে এটি সবার জন্য উপলব্ধ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সবার জন্যই ঐতিহাসিক হতে চলেছে।
অশোক পাটিল, সহকারী নিবন্ধক মহাপরিদর্শক, মহারাষ্ট্র
বিশেষ উদ্যোগের সুবিধা…
ভিড়ের সময় ক্রয়-বিক্রয়ে দেরি হয় এবং দূর থেকে আসা ব্যক্তিদের সময় নষ্ট হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে আর দেরি হবে না।
সত্ত্বর জমি ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে কাউকে আর ঘুষ দিতে হবে না।
কোনও বাধাবিপত্তি ছাড়াই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় হওয়ায় রাজস্ব বাড়ার সম্ভাবনা।
৯ মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব
বার্ষিক রাজস্ব লক্ষ্য: ৫০,০০০ কোটি
এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দলিল: ২৭,৯০,১৯১
অর্জিত রাজস্ব: ৫০,০১১.৫ কোটি
মার্চের মধ্যে প্রত্যাশিত অতিরিক্ত রাজস্ব: ১০,০০০ কোটি।