সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। কোনও সংগঠন নয়, তাঁরা সমাজের প্রতিনিধি— এই মর্মেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন নবান্ন অভিযানের ডাক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা তিন ছাত্র। এই তিন ছাত্রের অন্যতম শুভঙ্কর। তাঁর বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে রবিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণাঙ্কুরের পোস্টে দাবি করা হয়, এক সময় টিএমসিপি করলেও ধর্ষণ এবং অপহরণের মামলায় জড়়িয়ে যাওয়ায় শুভঙ্করকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুভঙ্করের বিরুদ্ধে কলেজে ভাঙচুর চালানো, আইসির গায়ে হাত তোলার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
তৃণাঙ্কুর নবান্ন অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তার ‘রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত ইতিহাস’ তুলে ধরে দাবি করেন যে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করার পর মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভঙ্কর। পরে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র নবদ্বীপ শাখার সভাপতি হন।
তিনি টিএমসিপি করতেন বলে যে দাবি তৃণাঙ্কুর করেছেন, তা উড়িয়ে দেন শুভঙ্কর। তবে তিনি যে এক সময় এবিভিপি করতেন, তা স্বীকার করে নেন শুভঙ্কর। জানান, সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে তিনি অনেক দিন আগেই এবিভিপি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয় হিসাবে ‘অরাজনৈতিক’ শব্দটিই ব্যবহার করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভঙ্কর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তারা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে আমাকে এবং আমাদের সঙ্গীদের ভয় পাওয়াতে চাইছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে না।”
প্রসঙ্গত শুভঙ্কর সহ নবান্ন অভিযানের দিন উদ্যোক্ত বারে বারে নিজেদের অরাজনৈতিক ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি বলে দাবি করলেও শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে নবান্ন অভিযানে গুলি চলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তা থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ ব্যানারে মিছিল করতে চলেছে আদতে বিজেপির নেতা কর্মীরা।
যার জন্য ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীরা বাস ভাড়া করে নবান্ন অভিযানের জন্য লোক যোগাড় করতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।