সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার টালা থানার ওসি-র বাড়িতে গেল কলকাতা পুলিশ। ডিসিপি-র নেতৃত্বে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের তিন আইপিএস অফিসার। ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর জি কর-কাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে টালা থানার ওসির।
গত পরশু তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তাঁকে।
আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় কেন গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে ?
সিবিআইয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে মৃত্যু ঘোষণা এবং দেরিতে FIR দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সন্দেহ, এর ফলে নৃশংস অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, ধৃতদের উদ্দেশ্য ছিল এই ঘটনায় কোনও মূল অভিযুক্ত বা সহ অভিযুক্ত থাকলে, তাদের আড়াল করা, সেই জন্যই এই কাজ করা হয়েছে।
যা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ ধারা (তথ্যপ্রমাণ লোপাট), ১৯৯ ধারা (সরকারি কর্মী হয়ে আইন অমান্য করা ও ৬১(২) ধারা (ষড়যন্ত্র) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ধারার সঙ্গে এই ধারাগুলি জুড়ে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
অ্যাডিশনাল সিপি বললেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ওসির কোনও দোষ নেই। যা কিছু করেছেন, সত্ উদ্দেশ্যেই করেছেন’।
ওসি-র গ্রেফতারিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কলকাতা পুলিসের একাধিক আধিকারিকরা। ফেসবুকে ডিপি কালো করে দিয়েছেন ইনস্পেক্টর এবং সাব-ইনস্পেক্টরদের অনেকেই। অ্যডিশনাল ওসি বলেন, ‘যা পরিস্থিতি ছিল, যেরকম সংবেদনশীল অপরাধ হয়েছিল, ডাক্তার ও অন্য়ন্যরা যা চাইছিলেন, সব দাবিগুলি মেনে স্বচ্ছভাবে যে তদন্ত করার ছিল, সেটাই করেছেন। কাজটা খুব ভালোভাবেই করেছেন’।
লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার বিভিন্ন থানা ও ট্রাফিক গার্ডের ওসির সঙ্গে কথা বলেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। এরপর আজ, সোমবার ধৃত ওসি-র সার্ভে পার্কের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কলকাতা পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা।