সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডে এই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি একমাত্র ধৃত সঞ্জয়ের। এদিন আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে সঞ্জয় রায় বলে, “আমি কিছু করিনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ভয় দেখিয়ে আমাকে চুপ করানো হয়েছে। আমি এতোদিন চুপ ছিলাম। আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। আমাকে ডির্পাটমেন্ট ভয় দেখিয়েছে। সরকার আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি রেপ এবং মার্ডার করিনি।” প্রসঙ্গত, এদিন ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। ১১ নভেম্বর থেকে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। রোজই শুনানি চলবে।
তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রথমেই কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তখন পুলিশ দাবি করেছিল, সঞ্জয় গ্রেফতারের পরে দোষ কবুল করে দিয়েছে। পরে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-র হাতে। সিবিআই এই মামলার পাশাপাশি আরজিকরের দুর্নীতির মামলাতেও তদন্ত চালাচ্ছে। সেই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। খুন এবং ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাটের জন্য সিবিআই গ্রেফতার করেছে আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে।
ইতিমধ্যে এই মামলায় একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে সিবিআইও অভিযোগের তীর সঞ্জয় রায়ের দিকেই ঠেলেছে। সূত্রের খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন সঞ্জয় রায় দাবি করে তিনি নির্দোষ। পরে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়ে তিনি বলে ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’অগাস্ট মাস থেকে একের পর এক নাগরিক প্রতিবাদে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও চর্চার বিষয় হয়ে গেছিল আরজিকর ইস্যু। পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের একের পর এক কর্মসূচিও দেখা যায়। নিজেদের দাবি নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এদিন কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয় রায়কে। সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর মামলার শুনানির পাশাপাশি আরও দুই কোর্টে আরজিকর মামলার শুনানি চলছে। সিবিআই বিশেষ আদালতে শুনানি চলছে আরজিকরে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি।