শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর কাণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নথি পেশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, বিপর্যয়কে উপার্জনের সুযোগে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের একটা হাততালি পাওয়া উচিত। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়ার পর সিসিটিভি লাগানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে অনেক গলাবাজি করেছেন। এর পর স্বাস্থ্য দফতর সিসিটিভি লাগাতে টেন্ডার জারি করে। কিন্তু সেজন্য কত খরচ হচ্ছে নিজের চোখেই দেখে নিন।’
একথা লিখে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দুবাবু। তাতে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১৯৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। প্রতিটি ক্যামেরা বসানোর খরচ, ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
শুভেন্দু অধিকারী, এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখেছেন?
ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল:
১৯৫টি সিসিটিভি বসানো হবে।
মোট খরচ- ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯২৩ টাকা।
প্রতিটি ক্যামেরার জন্য খরচ-১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা।
প্রফুল্লচন্দ্র সেন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আরামবাগ:
৫০টি সিসিটিভি বসানো হবে।
মোট খরচ-১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৯ টাকা।
প্রতি ক্যামেরার খরচ- ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪ টাকা।”
এক্স হ্যান্ডলে এই পরিসংখ্যান পেশ করে ফের একবার তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও লিখেছেন, “আশ্চর্যজনক, অবিশ্বাস্য এবং একেবারে নির্লজ্জ। সবাই জানে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতির প্রতীক, কিন্তু এবার তারা নিজেদেরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।”