কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
“কেউ যদি ভাবেন জঙ্গি ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদে, পূর্ব মেদিনীপুরের কি? জঙ্গি ধরা পড়েছে ক্যানিংয়ে, নদীয়ার কি? তাহলে ভুল করবেন। বাড়ির দুয়ারে জঙ্গি এসে গেছে। এর আগে আমরা দুয়ারে সরকার শুনেছিলাম, এখন দেখছি দুয়ারে জঙ্গি।” এভাবেই বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রাজ্য একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গ্রেফতার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের সাথে তো দু চারজন করে নিরাপত্তারক্ষী আছে। ওদের এমপি-এমএলএদের সাথেও থাকে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? খুব আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ যদি ভাবেন জঙ্গি ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদে, পূর্ব মেদিনীপুরের কি? জঙ্গি ধরা পড়েছে ক্যানিংয়ে, নদীয়ার কি? তাহলে ভুল করবেন। বাড়ির দুয়ারে জঙ্গি এসে গেছে। এর আগে আমরা দুয়ারে সরকার শুনেছিলাম, এখন দেখছি দুয়ারে জঙ্গি।” তাই ঠিক যে কায়দায় দিল্লী পুলিশ ‘রোহিঙ্গা খেদাচ্ছে’, একই কায়দায় পশ্চিমবঙ্গতেও রোহিঙ্গাদের খেদানো খুব জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ফের একবার তিনি কটাক্ষ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গি সরকারের মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খানরা। আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ব্যানার্জী।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির প্রতিনিধি হাসান ইমরানকে যারা রাজ্যসভায় পাঠায় তাদের সরকারকে আপনি কি বলবেন? এটাতো প্রমাণিত সত্য। বাংলাদেশের জঙ্গির ভোটার লিস্টে নাম উঠছে এবং ভোট দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সচেতন জনগণকে বলবো, যারা ভারতপ্রেমী রাষ্ট্রবাদী জনগন, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলার এই জঙ্গি সরকারকে উৎখাত করতে হবে নিজেদের, পরিবারের এবং বাংলার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে। নইলে আগামী দিনে বাংলায় কোন নারী, কোন শিশু সুরক্ষিত নয়। তাই দিল্লির এলজি দিল্লি পুলিশকে দিয়ে যেভাবে রোহিঙ্গাদের খেদিয়েছেন বাংলায় খুব প্রয়োজন। বাংলাতে ও এইরকম সরকার আপনার আনুন। যিনি যোগীজির মত সুশাসন দেবেন এবং গুজরাটের মতো শিল্প এবং কর্মসংস্থান দেবে।”
পাশাপাশি ফের তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সীমান্তে বিএসএফের ক্যাম্প করার জন্য জমি না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “শত ছিদ্র বাংলার বর্ডার। দীর্ঘ এলাকাতে জমি দেয়নি। বেড়া দেওয়া যায়নি। তাই প্রত্যেকের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।”
দুবাই থেকে জঙ্গিদের জন্য টাকা আসতো বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এর উত্তর মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ভাইপো দিতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী যতবার বিদেশে গেছেন দুদিন করে দুবাইয়ে থেকেছেন। আর মাননীয় ভাইপো বছরে তিনবার আমেরিকায় যান, দুবাই হয়ে যান, আবার দুবাই হয়ে ফেরেন। দুবাই তো আমরা যাই না, জানিও না কিভাবে কোথায় ঢুকতে হয় বের হতে হয়। পিসি জানে আর ভাইপো জানে। এই বিষয়ে ওদেরই জিজ্ঞেস করুন।”