কলকাতা সারাদিন।
কয়েকদিন আগেই অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায়।
২০১১ সালের সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিধানসভায় তৃণমূলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ করার সেই পুরনো তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য বিধানসভায় প্রাক্তন বিধায়কের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সোনারপুরের সাধারণ মানুষ ভেঙে পড়েছিলেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার ১০ বছরের বিধায়কের মৃতদেহ দেখার পরে।

অদ্ভুতভাবে সেই প্রয়াত জীবন মুখোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের দিনেই তাঁর বাড়ি থেকে অল্প দূরে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত তৃণমূল পরিচালিত সোনারপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাফাই কর্মীরাও পর্যন্ত মেতে উঠলেন শীতকালীন পিকনিকের আনন্দে।
আর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অফিস কর্মী সকলেই পঞ্চায়েত ছেড়ে পিকনিকে মেতে যাওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ জনপরিসেবার জন্যে এসে ফিরে যেতে হল সাধারণ মানুষকে।
এমনকি স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র নিতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হল এক বৃদ্ধাকে।
পঞ্চায়েতের কাছে বিভিন্ন লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার জন্যও দেশে ফিরে যেতে হল এলাকার বাসিন্দাদের কারণে পঞ্চায়েতে না আছেন প্রধান না আছেন অন্য কোন জনপ্রতিনিধি অথবা পঞ্চায়েতের কর্মীরা।
বিষয়টি জানার জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবিন সরদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অন্যদিকে সপ্তাহের এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের দিনে পঞ্চায়েতের সমস্ত কর্মী এবং আধিকারিক মেন গেটে তালা লাগিয়ে বিনা নোটিশে কোথায় চলে গেলেন তা জানার জন্য পঞ্চায়েতে পরিষেবা নেওয়ার জন্য আসা বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল সোনারপুরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের সঙ্গে। তাঁর কাছেও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ছুটি চাওয়া তো দূরের কথা পঞ্চায়েত সদর দপ্তর বন্ধ রেখেছে সকলে পিকনিকে যাবে সেই খবর দেয়নি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের কর্মী বা আধিকারিকরা। তিনি বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এই সংবাদ জানার পরেই কয়েক মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সোনারপুরের জয়েন্ট বিডিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দেন সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদর দপ্তরে। তারা এসেও পঞ্চায়েতের গেটের বাইরে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষকে দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি গেটে বড় তালা ঝোলানো দেখতে পান। সোনারপুর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।