সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
১২ ঘণ্টার ওপেন হার্ট সার্জারিতে প্রাণে বাঁচল ৯ বছরের আলতাফ। সাত বছরের শিশুর পর এবার ৯ বছরের বালক। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া সেবাশ্রয়ের দৌলতে প্রাণে রক্ষা পেল আরও এক শিশু।
গত ২ জানুয়ারি ডায়মন্ড হারবারে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যশিবির ‘সেবাশ্রয়’-এর সূচনা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই শিবিরের হাত ধরে এবার ১২ ঘণ্টা ধরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওপেন হার্ট সার্জারি হল ৯ বছরের আলতাফ হোসেন ঘরামির। ছোট থেকে হার্টের সমস্যা ভুগছে আলতাফ। সম্প্রতি বাবার সঙ্গে সেবাশ্রয়ে গিয়েছিল সে। সেখানেই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা আলতাফকে ডায়মণ্ড হারবারের এসডিও গ্রাউন্ডের মডেল ক্যাম্পে পাঠান। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, আলতাফের হৃদপিন্ডে একটি ছিদ্র (সায়ানোটিক হার্ট ডিজিজ) রয়েছে।
বিষয়টি জানা মাত্র পদক্ষেপ করেন ডায়মন্ড হারাবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরই আলতাফের ওপেন-হার্ট সার্জারির ব্যবস্থা করেন অভিষেক। জেআইএমএসে বা জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে ইতিমধ্যে শিশুটির পরীক্ষা সফল হয়েছে। টুইটে এখবর জানিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ লিখেছেন, আলতাফ এখন বিপদমুক্ত। আশাকরছি শীঘ্রই ও জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে পারবে।
এজন্য সেবাশ্রয়ের প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন সাংসদ। একই সঙ্গে অভিষেক লিখেছেন, সেবাশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে এভাবেই আলতাফের মতো আমরা প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে পারব।
আলতাফের বাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “যখন আমি আমার ছেলেকে সেবাশ্রয়ে নিয়ে আসি, তখন সে হাঁটতেও পারত না এবং শ্বাস নিতেও কষ্ট হত। চিকিৎসকরা দ্রুত কাজ করে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে আমাদের চিকিৎসার জন্য এক টাকাও খরচ করতে হয়নি। আমি কখনই আমার ছেলের চিকিৎসার খরচ সামলাতে পারতাম না।
হাসপাতালের কর্মীরা এবং তাদের পরিষেবা অসাধারণ। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি ঈশ্বরের মতো আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমার ছেলে এখন স্থিতিশীল এবং ঠিকভাবে কথা বলতে পারছে।”
এক আধিকারিক বলেন, “আলতাফের অপারেশনের জন্য আমরা দক্ষ সিটিভিএস টিমকে নিয়ে এসেছিলাম, যেখানে আমাদের নিজস্ব এবং বাইরের ডাক্তাররাও ছিলেন। পেডিয়াট্রিক সিটিভিএস সার্জেন ডা. এমডি. রশিদ এই অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন।”