সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অশোকনগরের তৃণমূল নেতা অতীশ সরকারের বক্তব্য ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। আরজি কর কাণ্ডে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অস্বস্তিতে। এই নেতার বক্তব্যে আরও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রাক্তন কাউন্সিলর অতীশ সরকারকে শাস্তির মুখে পড়তে হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যারা কুৎসা করছে, তাদের মা – বোনদের ছবি বিকৃত করে বাড়ির দেওয়ালে টাঙিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তার বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডের সভামঞ্চ থেকে ‘ফোঁস’ করতে বলেছিলেন দলের নেতা – কর্মীদের। তারপর থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তবে এখনও অবধি অত্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন অশোকনগরের এই প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই বক্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
অতীশ সরকার কী বলেছেন ওই পথসভা থেকে? তিনি বলেছেন, ” আপনার বাড়ির দরজায় গিয়ে আপনার মা – বোনকে বিকৃত করে আপনার বাড়ির দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়ে আসব। শুনে রাখবেন, আজকে বলে গেলাম। সাবধান হয়ে যান।”
এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। পথসভার পিছনে কর্মসূচি উপলক্ষে ফ্লেক্স লাগানো আছে তাতে লেখা হয়েছে, ” মা-বোনেদের সম্মান, আমাদের সকলের সম্মান।” আর তার সামনে দাঁড়িয়েই মা-বোনেদের বিকৃত ছবি টাঙিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। উপস্থিত সকলে সেই বক্তব্য শুনছেন। একজন আবার হাততালিও দিলেন। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন। বিজেপির অন্যান্য নেতারাও সেই ভিডিও শেয়ার করছেন। শিক্ষিত মহলে এই বক্তব্য ঘিরে জোড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শাসক দলের অবস্থান ঘিরে ফের প্রশ্ন উঠেছে। এরপরেই আর কালবিলম্ব করেনি তৃণমূল।
তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। এক বছরের জন্য দল থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন।
কুণাল লিখেছেন, ” অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা এলাকার যে দলীয় নেতা প্রতিবাদী মা-বোনদের ছবি সংক্রান্ত বিকৃত মন্তব্য করেছিলেন, এই আচরণের নিন্দা করছে দল। এবং তাঁকে চিহ্নিত করে তৃণমূল এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”