সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
লোকসভায় এক দেশ, এক নির্বাচন বিল পেশের সময় সংসদে ছিলেন না বিজেপি ২০ জন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলার তমলুক থেকে নির্বাচিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই আবহে ‘হুইপ অমান্য করার’ অভিযোগে তাঁকেও শোকজ নোটিশ পাঠাতে পারে দল? এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। গতকালই লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী ২টি বিল।
বিল পেশের ক্ষেত্রে গতকাল ডিভিশন বা ভোটাভুটির দাবি তুলেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। এমন কিছু যে হতে পারে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল বিজেপি। এই আবহে বিজেপি গতকাল লোকসভায় সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি করেছিল। তবে দেখা যায়, বিজেপির ২০ জন সাংসদ গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন লোকসভা থেকে।
এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গতকাল সংসদে অনুপস্থিত সেই ২০ জন সাংসদকে নোটিশ পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। আর তা যদি হয়, তাহলে বিজেপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট সাংসদের হাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ গিয়ে পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিলগুলি পেশের সময় লোকসভায় অনুপস্থিত ২০ জন বিজেপি সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, গিরিরাজ সিংরা। সেই তালিকাতে আছেন অভিজিৎ গঙ্গোপধ্যায়ও। এই নিয়ে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি যে ফ্লাইটে আসছিলেন, তা ৪৫ মিনিট দেরি করে। সেই কারণেই তিনি লোকসভায় সঠিক সময়ে হাজির হতে পারেননি।
এর আগে তিনলাইনের হুইপ জারি কে সকল বিজেপি সাংসদকে বিল পেশের সময় লোকসভায় থাকতে বলা হয়েছেল। এই আবহে কেন হুইপ জারি সত্ত্বেও বিল পেশের সময় এই সাংসদরা লোকসভায় ছিলেন না, তার কারণ জানতে চেয়েই দলের তরফ থেকে তাঁদের নোটিশ ধরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই সাংসদরা নিজেদের অনুপস্থিতির কথা আগে থেকেই দলকে জানিয়ে রেখেছিলেন কি না, তা এনও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই নোটিশ জারি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, গতকাল আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সংবিধান (একশত উনবিংশ সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল, ২০২৪ পেশ করেন। এই বিল দু’টি সংসদে পেশ হতেই কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বিরোধিতায় সরব হন। বিলটি পেশ করার ক্ষেত্রে বিরোধীরা ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি তোলেন। সেই মতো স্পিকার ভোটাভুটির দাবি মেনে নেন। দেখা যায়, বিল পেশের ক্ষেত্রে ভোট দেন ২৬৯ জন সাংসদ। অপরদিকে বিল পেশের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৯৮টি।
এই বিলগুলি পেশ করার পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন, সেগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত।