সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
“একটি জাতি যদি শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী না হয় তা হলে সেই জাতির মাথা তুলে দাঁড়ানো কঠিন।” এমনটাই বাঙালি জাতিকে জাতির উদ্দেশ্যে বলে গিয়েছিলেন চির তরুণ স্বামী বিবেকানন্দ।
সন্ন্যাস জীবনের বহু আগে নরেন্দ্রনাথ দত্ত যখন স্বামী বিবেকানন্দের নাম ধারণ করেননি তখন তিনি পুরোদস্তুর শারীর শিক্ষা এবং খেলাধূলোয় মেতে থাকতেন।
তাই ছোটবেলা থেকে খেলা ধুলো এবং শারীরশিক্ষার এই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবারেও সোনারপুরের জ্যোতি শিশু বিহার স্কুলের কচিকাঁচাদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল অ্যানুয়াল স্পোর্টস ।
https://www.youtube.com/watch?v=sLr9WnXYuQs
সোনারপুরে ঘাসিয়াড়া বলাকা সংঘের মাঠে আয়োজিত হয়েছিল জ্যোতি শিশু বিহার স্কুলের ঘাসিয়াড়া ক্যাম্পাসের অ্যানুয়াল স্পোর্টস মিট ২০২৪-২৫।
ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢ্য প্যারেড ও মশাল প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে বাৎসরিক এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জ্যোতির্ময় স্কুল অফ এডুকেশনের কর্ণধার তথা প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ পার্থ সারথি গাঙ্গুলী।
ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতির্ময় স্কুল অফ এডুকেশনের অধীনস্থ সমস্ত এলিমেন্টারি স্কুলের ডিরেক্টর পামেলা মুখোপাধ্যায়, সরস্বতী অনলাইন এর কর্ণধার তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বণিতা গাঙ্গুলী, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দক্ষিণ 24 পরগনার মধ্যে সেরা সিবিএস স্কুলের শিরোপা জিতে নেওয়া জ্যোতির্ময় পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল সুশান্ত দাস, জ্যোতির্ময় স্কুল অফ এডুকেশনের মার্কেটিং শাখার কর্ণধার প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও জ্যোতি শিশু বিহার স্কুলের ঘাসিয়ারা ক্যাম্পাসের হেডমিসট্রেস অনিন্দিতা ঘোষ এবং রামচন্দ্রপুর ক্যাম্পাসের হেডমাস্টার অন্তরা গুপ্ত।
স্কুলের প্লে গ্রুপের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের মজাদার দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ক্যান্ডি রান অর্থাৎ দড়িতে ঝোলানো ক্যান্ডি বা লজেন্স নিয়ে কে কার আগে পৌঁছাতে পারে সেই প্রতিযোগিতাও বেশ উপভোগ্য ছিল সকলের কাছে।
অন্যদিকে কেজি ওয়ান এবং কেজি ২ পড়ুয়াদের ভেজিটেবল রান ইভেন্টও নজর কেড়েছে দর্শকদের।
আবার প্রাইমারি সেকশনের ছেলেদের দৌড়ে গিয়ে কে কত আগে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে জুতোর লেস বেঁধে সবার আগে পৌঁছাতে পারে সেই ইভেন্ট কিন্তু দারুণ উপভোগ করেছেন সকলেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্কুলের কর্ণধার তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর পার্থ সারথী গাঙ্গুলী ছোট ছোট পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শুধুমাত্র পড়াশুনা করেই বড় মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো ভীষণ প্রয়োজনীয় একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য। জ্যোতি শিশু বিহার অথবা জ্যোতির্ময় পাবলিক স্কুলে আমরা তাই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সামগ্রিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি।”