কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
সনাতনীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ফের পথে শুভেন্দু অধিকারী। দোলে অশান্তির অভিযোগে হলদিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল বিরোধী দলনেতার। প্রতিবাদ মিছিলের পর পথ সভা করবেন শুভেন্দু। ক্ষুদিরাম স্কোয়ার থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক। হাই কোর্টের অনুমতিতে আজ এই মিছিলের আয়োজন হয়।
দুপুর দেড়টা থেকে চারটের মধ্যে মিছিল শেষ করার নির্দেশ আদালতের। জেলা বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে হাইকোর্টের সব নির্দেশ মেনেই এদিনের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।পুলিশকে ঘরে ঢুকিয়ে দিক বা ক্ষমতা কেড়ে নিক তৃণমূল একঘন্টায় ধুয়ে মুছে সাফ। তৃণমূলকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে পুলিশ’ই পথ সভা থেকে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী । এদিনের সভা থেকে বিরোধী দল নেতা বলেন, ‘দিল্লিতে ১০ শতাংশ বাড়ি থেকে বেড়িয়েছে তাতেই ঝাড়ু সাফ। ২৫-এর কেজরিওয়াল গেছে ২৬ এ তৃণমূলকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে’, হুঙ্কার শুভেন্দুর। ‘২০ বছর আগে যে মরে গেছে সেও ভোট দিয়েছে’ ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর।
শুভেন্দুর নেতৃত্বে হলদিয়ায় প্রতিবাদ হলদিয়ার মিছিলে ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ প্ল্যাকার্ড। মঞ্চ থেকে হুঙ্কার ছুঁড়ে শুভেন্দু এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ কোটি ১৫ লাখ বেকার তৈরি করেছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বাইরে রেখে ২টো অবৈধ বিল পাস করানো হয়েছে। শিল্প বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর। এদিনের মিছিল থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘২০ হাত অন্তর অন্তর মদের লাইসেন্স দিয়ে রাজ্য আজ মদময়’। দিল্লিতে আপ সাফ প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘২৫-এ দিল্লিতে ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে’। প্রাইভেট বারে বাংলার মা, বোন দিদিরা কাজ করবেন, পরিবারকে বাঁচানোর জন্য নত মস্তকে আপনাকে এই কাজ করতে হবে। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। বাংলায় তোষণের রাজনীতি, মুসলিম লীগ ২ সরকার চলছে। আমার বিরুদ্ধে কিছু নেড়িকে লেলিয়ে দিয়েছে। আমি ভয় পাই না। অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন কেন পার্ক সার্কাসে মিছিল প্রশ্ন শুভেন্দুর।মহাকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভের সঙ্গে তুলনা নিয়ে মমতাকে খোঁচা। মঞ্চ থেকেই বিরোধী দলনেতার বার্তা ‘মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান, এক হয়েছে হিন্দুস্তান’!
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলার হিন্দু জনসংখ্যা ৮৫ শতাংশ। আজ ৬৭। টিকে থাকবেন তো? বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এখনও যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে। ২৬-এ যদি তৃণমূল যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোভ দেখিয়ে, মুসলিমদের জুটিয়ে আমাদের কিছু হিন্দুকে এদিক-ওদিক করে জিতে যায়। তাহলে একই অবস্থা এই অবস্থা হবে। জাত-পাত-রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখো। কোনও সনাতনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পারে না, পারে না, পারে না….সরস্বতী পুজো, মহকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলার পর কেউ ভোট দেবে না। মানুষ প্রস্তুত এই রাজ্য মোদীজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। আমরা পুরো সাংগঠনিক জেলা ডাকিনি। আজ প্রচুর মানুষ এসেছেন। সবাই একাট্টা হয়েছেন। ওরা কত? ২ কোটি? শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ১০ লক্ষ ছাপ্পা আছে। কেশপুরেও ছাপ্পা আছে। এখানেও আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা আছে। এখানে অভিজিৎবাবুকে ঢুকতে দেয়নি। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক। কত ছাপ্পা হয়েছে। মাত্র ২১ লক্ষের খেলা। তাও যদি সনাতনিরা পাঁচ শতাংশ ভোট দেয়…সিপিএম লড়ছে পারছে না। ৮৪ হাজার ভোট সায়ন পেয়েছে। ৮৩ হাজার হিন্দু ভোট। ওরা ভোট দিতে দেয় না। ৩০ শতাংশ হিন্দু। ৬৫ শতাংশ হিন্দু ভোট দিতে যায়। একটু দয়া করবেন উল্টে দেব আমরা। মায়েদের ৩০০০ টাকা দেবে। ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি। এক লক্ষ নয়, তিন লক্ষের বাড়ি দেবে। প্রতিবছর এসএসসি, জেলাতেই প্রাইমারি হবে। হাতে পায়ে ধরে টাটাকে ফিরিয়ে আনা। বন্ধু মুসলিমরা গায়ে মাখবেন না। আমি ভারতীয় মুসলিমদের বলছি না। রোহিঙ্গাদের বলছি।”