সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
রোজ কত কি ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা! শুধুমাত্র কবির কল্পনায় নয়, এমন আকাশ কুসুম ভাবনা আমাদের প্রায় প্রত্যেকের মনেই আসে কখনো না কখনো।
তবে শুধুমাত্র বাংলায় নয়, ইংরেজি সাহিত্যেও সেই কোন যুগে ইউরোপীয় রেনেসাঁর যুগে ওয়ালটার ডি লা মেয়ার লিখে গিয়েছিলেন, “ইজ দেয়ার এনি বডি দেয়ার? সেইড দ্য ট্রাভেলার নকিং অন দ্যা মুনলিট ডোর…”
এই সমস্ত কল্পনা এবং বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য শিল্পী নিজের শৈল্পিক সত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে রূপ দেন নিজের শিল্পের মাধ্যমে।
সুরিয়াল (Surrealism ) থেকে সেই কল্পনা অনুভূতি রূপ পায় রিয়েলিটিতে।
এ বারে বেলেঘাটা সন্ধানী ক্লাবের দুর্গাপুজোয় টিম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছেন মানুষের এমন বাস্তব অবাস্তব কল্পনার জাল বোনা বিভিন্ন গল্পের প্লট।
৫৫ তম বছরে এসে বেলেঘাটার সন্ধানী ক্লাবের এবারের পূজোর থিম – “প্লাটফর্ম নং ১/৩”।
যেখানে শিল্পী সোমনাথ দলুই সো রিয়াল এক জগত তৈরি করে বেলেঘাটার সন্ধানের পূজা মণ্ডপে তৈরি করে ফেলেছেন এমন এক জগত যেখানে রয়েছে একটি প্লাটফর্ম। যেখানে হয়তো বা ট্রেনের মধ্যে যাত্রীর জায়গায় মানুষের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে জিরাফের মুখ! হয়তো বা ট্রেনের ইঞ্জিনটা প্যারাসুটের মত উড়ে চলেছে মহাশূন্যে!
জেনারেশন এক্স এবং জেনারেশন ওয়াই যেখানে সারাক্ষণ স্মার্টফোন আর কম্পিউটারের স্ক্রিনে নিজেদের ভাবনা-চিন্তার জগতকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে, এই সময়ে দর্শকের কল্প জগতকে আরো বিস্তৃত করে তোলার সুযোগ দিতে এখানে সবই যেন এক অদ্ভুত কাল্পনিক চেহারায় দেখা দেবে এবারের বেলেঘাটা সন্ধানীর পুজোয়।
যেখানে স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে এসটিডি বুথ, গাড়ির সিগনাল অথবা টাইম টেবিল কোন কিছুর সঙ্গেই যেন সহজে মেলাতে পারবেন না দশটা পাঁচটার জীবনে দেখা কংক্রিটের জগতকে।
যা বোঝার জন্য কোন অভিধান অথবা গুগল সার্চ নয়, মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারটাকেও একটু কালচার করাতে হবে!
সৃজনশীলতার এই শারদোৎসবে যুক্ত হচ্ছেন:
সৃজনে: সোমনাথ দলুই
মাতৃরূপে: পল্লব জানা
আলোর মায়ায়: প্রবাল বোস