সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
“ইউনেস্কো বাংলার দুর্গা পূজাকে আন্তর্জাতিক হেরিটেজ ঘোষণা করার পর থেকেই ইচ্ছে ছিল একবারের জন্য হলেও কলকাতার দুর্গাপূজা দেখার। এবারে সেই স্বপ্ন সার্থক হলো।” কলকাতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরে প্রথম দুর্গাপূজা দেখে এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস দিয়াজ (Consul General Kathy Giles-Diaz)।
মহালয়ার পরের দিন থেকেই কলকাতার বিভিন্ন দুর্গা পূজা মন্ডপে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লেন। কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস দিয়াজ।
তবে শুধুমাত্র কলকাতা নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস দিয়াজ একা নন, কলকাতার পুজো মণ্ডপ গুলোও ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন কলকাতার মার্কিন কনসুলেটের অন্যান্য কর্মী এবং আধিকারিকরাও।
দেবী দুর্গা যেমন নিজেই নারী শক্তির প্রতীক, পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন পুজো মন্ডপে নারী শক্তির আবাহনে যে বিভিন্ন ধরনের থিম তৈরি হয়েছে তা দেখে রীতিমতো ইম্প্রেসড মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি।
নারী শক্তির আবাহনে বিভিন্ন থিমের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা এবং বাংলা তথা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে যেভাবে পুজোর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন মন্ডপে – তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাথি। বেশ কয়েকটি পূজো মণ্ডপে গিয়ে সেখানকার মন্ডপ শিল্পীদের সঙ্গেও কথা বলেন ক্যাথি।
তবে শুধুমাত্র পুজো মণ্ডপ নয়, বাংলার দুর্গা পূজাকে ঘিরে যে সমস্ত আনুষঙ্গিক শিল্প এবং কারুকার্যের সমাহার দেখা যায়, সেগুলো নিয়েও রীতিমতো উচ্ছসিত তিনি।
কখনো ছুটে যাচ্ছেন হাওড়ার মল্লিক ঘাট ফুল বাজারে, আবার কখনো বা মণ্ডপে ধুনুচি নাচের প্রস্তুতি দেখতে বা মণ্ডপের সামনে আলপনা দেওয়ার কাজে হাত লাগাতে নেমে পড়ছেন নিজেই।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় ভারত মার্কিন যৌথ উদ্যোগে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরেই নবান্ন গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস দিয়াজ।