শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন।
ফের ভাইরাস আতঙ্ক। আবার চর্চায় সেই চিন। করোনা ভাইরাসের পর এবার চিনে ছড়াচ্ছে নতুন এক ভাইরাস। নাম হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metapneumovirus)। ঠিক যেমনভাবে ২০২০ সালের গোড়ায় হু হু করে প্রথমে চিন ও পরে গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, একইভাবে মেটানিউমোভাইরাসও চিনে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। শ্মশানেও লাইন পড়ছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে মাস্ক পরা অসুস্থ মানুষদের ব্য়াপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, নতুন করে কোভিড সংক্রমণ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-র মতো ভাইরাসে আক্রান্তও বাড়ছে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস কী?
চিনে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভাইরাস সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে, তা হল হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণের উপসর্গও অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। করোনার ক্ষেত্রে যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতার মতো নানা উপসর্গ ছিল, এই ভাইরাস সংক্রমণেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। শিশুরাও নিউমোনিয়া ও ‘হোয়াইট লাংস’-র মতো সংক্রমণে ভুগছে। জানা গিয়েছে, মূলত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্য়েই সংক্রমণ দ্রুত বেড়েছে।
চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ দফতর জানিয়েছে, তারা গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্র সংক্রমণের মতো রোগ বাড়ে। তবে অজানা প্যাথোজেন শনাক্ত করতে প্রোটোকল তৈরি করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে রিপোর্ট তৈরি ও রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে। ৫ বছর আগে, করোনা সংক্রমণের মতো পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না বলেই তারা আশ্বাস দিয়েছে।
ভ্যাকসিন আছে?
আরও বড় ভয়ের কথা হল এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন নেই এখনও পর্যন্ত। ২০ বছর আগে এই ভাইরাস একবার দাপট দেখিয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু এর কোনও টিকা নেই। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে সতর্কতা অবলম্বন এবং জনস্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। করোনাকালের মতোই নিয়মিত হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ভাইরাসটি দেশের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে । চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফেও সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উত্তর চিনে হাসপাতালে বেড মেলা দায় ! সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু – কিশোররা। তবে এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। Ej আর তাই সতর্ক পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও।