শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“দল পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছে। যা করার দল তা সময়ে করবে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে বিজেপিতে ভবিষ্যতে না হয় তার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে।” দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনে সেখানে যাওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দিলীপ ঘোষের যাওয়া নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে বিজেপির দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
গত কয়েকদিনের কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে বলতে গিয়ে শমীক স্পষ্টই বললেন, ‘যা হয়েছে অভিপ্রেত নয়’।
তবে কী দিলীপ ঘোষের বিষয়ে এবার ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি? প্রশ্ন শুনেই সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বললেন, “উনি আমাদের দলের সফলতম সভাপতি ছিলেন। বিধায়ক ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। তিনি কী করবেন, কী বক্তব্য রাখবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বার্তা যদি দলের কিছু থাকে সে বিষয়ে দলের যাঁরা চিন্তা-ভাবনা করার তাঁরা করবেন। সেই দায়িত্ব আমার নয়।”
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার পার্টি হিন্দুদের কথা বলবে আর হিন্দুত্বের বিষয় থেকে পালিয়ে যাবে কেন? দিলীপ ঘোষ তো পালিয়ে যায় না।” পাশাপাশি তিনি এক্কেবারে সুকান্তকে টেনে এনে বলেন, “আমাকে যদি আমার সভাপতি বলতো আপনি যাবেন না। তাহলে আমি যেতাম না। আমি জানি বিজেপির কেউ বলতে পারে না মন্দিরে যেও না।” ঠিক এরপরই তাঁর সংযোজন, “যেদিন থেকে রাজনীতিতে পা দিয়েছি সেদিন থেকে যুদ্ধই লড়ছি। কখনও বাইরে, কখনও ভিতরে। লড়তেই হবে। এটাই রাজনীতি। লড়াইটাই তো জীবন। তবে দলের বিরুদ্ধে আমি কোনওদিন লড়িনি।”

দিলীপের বিরুদ্ধে যে দল কড়া পথে হাঁটবে, সে কথা শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বোঝালেন, একটা দল করতে হলে তার আচরণকে আত্মস্থ করতে হয়। নেতৃত্বের প্রতি একটা আনুগত্য রাখতে হয়। সেটা যে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাঁর কথায়, “এক্ষেত্রে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে তাতে নিজেদেরই চিন্তা করতে হবে যে কেন আমাদের মধ্যেই এমন পরিস্থিতি। ভবিষ্যতে দিলীপের বিরুদ্ধে দল সমীক্ষা করবে এবং যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। তবে তার দায় আমার নয়।”