মফিজুল ইসলাম। কলকাতা সারাদিন।
এবার বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা ইউনূসের? (Muhammad Yunus) সূত্র মারফত খবর,’প্রাথমিকের পাঠ্য বই থেকে বাদ মুজিবকে নিয়ে লেখা গদ্য-পদ্য। তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্য থেকে বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবরের জীবনীও। বাদ দেওয়া হচ্ছে মুজিবের ছোট ছেলে রাসেলকে নিয়ে ইংরেজি গদ্যও’, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের।
‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ পাকিস্তান সরকার এবং সেনা নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্সে তাঁর বক্তব্যের শেষার্ধে উচ্চারিত হয়েছিল এই কথাগুলোই। এই মানুষটার জন্যই বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত অগস্ট মাসে ঢাকার বুকে সেই মুজিবর রহমানেরই সোনালি মূর্তি ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে একের পর এক হাতুড়ির ঘা মেরে, পরে আর্থ মুভার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মূর্তির উপরের অংশ। ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। আর এবার শুরু হল আরেক স্মৃতিনিধন যজ্ঞ! এবার বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু করল ইউনূস সরকার। সূত্রের খবর, সে দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড NCTB সিদ্ধান্ত নিয়েছে,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে।
বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে ৭টি গদ্য ও পদ্য বাদ দেওয়া হচ্ছে। আর নতুন করে ৮টি গদ্য ও পদ্য যুক্ত হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ৩টি গদ্য, একটি পদ্য ও একটি জীবনী বাদ দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণির একটি বই থেকে শেখ মুজিবর রহমানের জীবনী বাদ দিয়ে সেখানে জাতীয় চার নেতার জীবনী যোগ করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও বাদ দেওয়া হচ্ছে।
শুধুমাত্র পাঠ্যবই থেকেই নয়, সূত্রের খবর, টাকার নকশা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি বাদ যাচ্ছে। তাঁর পরিবর্তে যুক্ত হতে যাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি। আপাতত ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, নতুন নোটে থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এর পরিবর্তে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’।