রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
‘সেক্সাহোলিক’ স্টার শমা সিকন্দর। তাঁর সঙ্গে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই নেটাগরিকদের সঙ্গে।
১৯৯৮ সালে ফারদিন খানের ছবি ‘প্রেম অগন’-এর হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন শমা। এরপর আমির খানের ‘মন’-এও ছাপ রাখতে পারেননি তিনি।
টিভি সিরিয়াল ‘ইয়ে মেরি লাইফ হ্যায়’র মাধ্যমে খ্যাতি কুড়ান অভিনেত্রী শামা সিকান্দার। পরবর্তীতে পা রাখেন বলিউডে। আমির খান, ফারদিন খান, মনীষা কৈরালার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।
৪১ বছরের রাজস্থানের কন্যা লাস্যের আগুনে ছারখার করে দেন ইনস্টাগ্রাম। তাঁর জন্য দরদর করে ঘামে নেটপাড়া। তাঁর ফলোয়ার্সরা জানেন যে শরীরি আবেদনে শমা কী খেলা দেখাতে পারেন!
কিছুদিন আগেই শমা গিয়েছিলেন দুবাইয়ে ছুটি কাটাতে। কালো এবং কমলা বিকিনিতে একের পর এক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর টোনড বিচ বডি যেন বালুঘড়ি। জলে আগুন জ্বালানোর মন্ত্র জানেন তিনি! এবার লাস্যের আগুনে দুবাই জ্বালালেন শমা।
শমা সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয়। হট অ্যান্ড সেক্সি ছবির সঙ্গেই পোস্ট করেন ভিডিয়ো। বিকিনির সঙ্গে কথা বলতে জানেন শমা। শুধু প্রাশ্চাত্যের পোশাকেই নয়, শমাকে শাড়িতেও লাগে ভয়ংকর মোহময়ী।
তবে একের পর এক রিয়্যালিটি শো, ওয়েব সিরিজ করতে থাকেন শমা। টেলিভিশনের পর্দায় চুটিয়ে কাজ করেন। এছাড়াও রয়েছে বোল্ড ফটোশ্যুট। শমা পেয়ে যান নিজের জমি।
সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শামা। অভিনেত্রী বলেন, আমি অনেক পুড়েছি। এ কারণেই মিডিয়া থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি দীর্ঘসময় বিরতিহীনভাবে কাজ করেছি। এটি আমার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে প্রভাব ফেলেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি অস্বস্তি বোধ করছিলাম এবং বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এমনকি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে আমার বাবা-মা আমাকে বাঁচিয়েছিলেন।
দুঃসময়ে বন্ধুদের পাশে না পেয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন শামা। যদিও অভিনেত্রীর মানসিক স্বাস্থ্যের খবর জানতে পেরে নিজেদের অপরাধী ভাবতে থাকেন তার কিছু বন্ধু।
অভিনেত্রী বলেন, আমার পছন্দ ওটিটি প্রজেক্ট। আমি যেমন অভিনয়কে ভালোবাসি, তেমন নিজেকে ও পরিবারকেও ভালোবাসি। আমি একই ভুল পুনরায় করতে চাই না। আমি আমার কাজ ও জীবনকে উপভোগ করতে চাই। টিভিতে কাজ করতে গেলে এটা সম্ভব না। তাই আর টিভিতে ফিরতে চাই না।
ShamaSikander confessed that she faced a casting couch incident and was removed from a film when she refused to play ball.
বলিউডের ‘কাস্টিং কাউচ’ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শমা সিকন্দর। বললেন বলিউডে একটা সময়ে কাজের বদলে শরীর চাওয়াই ছিল ধারা। তাতে সকলে গা না ভাসালেও ক্ষমতার শীর্ষে থাকার সুযোগ নিতেন অনেকেই। শমা নিজেও সেই ‘সুযোগ নেওয়া’র শিকার হয়েছেন বলে জানালেন অভিনেত্রী।
শমা জানিয়েছেন, সরাসরি কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে অনেক প্রযোজক চাইতেন তাঁর ‘বন্ধু’ হতে। ব্যক্তিগত ভাবে এমন বহু ‘বন্ধুত্বের’ প্রস্তাব পেয়েছেন শমা। যে বন্ধুত্ব শমার কথায় আদতে নির্ভেজাল নয়, বরং যৌন ঘনিষ্ঠতার আহ্বান!
শমা বলেছেন, ‘‘কাজের জন্য অনুরোধ করতে গিয়ে প্রযোজকরা বন্ধুত্বের কথা বলেছেন। আমার প্রশ্ন ছিল, আরে একসঙ্গে কাজই যদি না করি, তা হলে বন্ধুত্ব কী করে হবে! শরীরের বদলে কাজ চাওয়ার এই গোটা ভাবনাটাই আমার নিম্নরুচির মনে হয়েছে বরাবর। আত্মবিশ্বাসের অত্যন্ত অভাব থাকলেই কেউ এই ফাঁদে পা দিতে পারে।’’
শমা জানিয়েছেন, সেই সমস্ত বন্ধু হতে চাওয়া প্রযোজকরা বলিউডের এক এক জন বড় মাথা। তবে একই সঙ্গে শমার দাবি, কাস্টিং কাউচ শুধু বলিউডেই সীমাবদ্ধ নয়। সমস্ত কর্মক্ষেত্রেই এমন হয়ে থাকে। তাঁর মতে, বলিউডের নাম এ ব্যাপারে সর্বাগ্রে উঠে আসে তার কারণ, বলিউড নিয়ে আলোচনাও হয় সবচেয়ে বেশি। বলিউড নিয়ে মানুষের আগ্রহও বেশি।
তিনি জানিয়েছেন, এখনকার বলিউড অনেক বেশি পেশাদার। এখন কাজের কদর হয়। কমবয়সি প্রযোজক বা পরিচালকেরা শরীরের বিনিময়ে কাজে বিশ্বাসী নন। তাঁরা শিল্পীদের সম্মান দেন।