সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
সোনা পাচারের অভিযোগে (Smuggling) এয়ার ইন্ডিয়ার এক ক্রু-কে (Crew) গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দর (Mumbai Airport) থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টর অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI)। ধৃতের কাছ থেকে ১.৩৭ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১.৪১ কোটি টাকা। পাচারকাণ্ডের (Smuggling) মূল মাথাকেও (Main Culprit) গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুম্বই বিমানবন্দরে নিউইয়র্ক থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার এক কেবিন ক্রুকে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে ১,৩০০ গ্রামের বেশি ওজনের সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাটি বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তা এবং সোনা চোরাচালান চক্রের কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কেবিন ক্রু সোনা পাচারের মূলচক্রীকে চিহ্নিত করেছেন এবং তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং আরও জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্রু নিউ ইয়র্কের কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে AI116 বিমানে করে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বিমানবন্দরে আসেন। মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর তল্লাশি হতেই তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে মুখ খুলতে নারাজ ছিল অভিযুক্ত। তবে পরবর্তীতে সে নিজের মুখেই পাচারের (Smuggling) কথা স্বীকার করে নেয়। লুকিয়ে রাখা হলুদ ধাতুর সন্ধান দেয় নিজেই।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিমানের ওই ক্রু (Crew) আগে থেকেই সোনা পাচারের (Gold Smuggling) সঙ্গে যুক্ত। তবে এখনও পর্যন্ত কতবার সোনা পাচার করেছে তা স্পষ্ট নয়। পাচার চক্রের মূল পান্ডা একজন ভারতীয় নাগরিক (Indian Citizen) বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর দ্বারাই এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রু-রা সোনা পাচার করতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই পাচারচক্রে আরও মাথা খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে পাচারের ঘটনা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।