তিনদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির জেরে এবার কোপাই নদীর জলে প্লাবিত হলো বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলা।মন্দির প্রাঙ্গণসহ গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করায় আপাতত পুজো বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রত্যেক বছর অতি বৃষ্টির কারনে মা কঙ্কালীতলা মন্দির প্রাঙ্গণ প্লাবিত হয়ে যায়, কুয়ে নদীর আয়তন এতটাই ছোট অতিরিক্ত জল জমে যাওয়ায় সেই জল দুকুল ছাপিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে যায়। এটাই সমস্যায় পড়ে যায় মন্দির কমিটি।
কতক্ষণ আর জল কমে ততক্ষণ পুজো শুরু করা যায় না। নিম্নচাপের জেরে গত তিনদিন ধরে বীরভূম জুড়ে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে প্রায় হাজারখানেক মাটির বাড়ি ধসে পড়েছে, কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। লাভপুর বিধানসভা এলাকার বারোটি গ্রাম পুনরায় প্লাবিত হয়েছে। বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে প্লাবিত হওয়া গ্রাম গুলো তিনি পরিদর্শন করেছেন, যাদের কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সেইসব মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের গ্রাম থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সিউড়ি থানা জুনিতপুরে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাটির হচ্ছে প্রায় পড়ে যায়। একাধিক জায়গায় কাজ করে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। শান্তিনিকেতন থানার গোয়ালপাড়ার কোপাই নদীর জল প্লাবিত হয়ে সেতু তে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।ইলামবাজারে মাটির বাড়ি ধসে মালতি মাল নামে একজন বৃদ্ধা মহিলা মারা গেছেন। নানুর বিধানসভার চারকোল গ্রামে কাঁচা বাড়ি ধসে একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গুরুতর জখম হয় বর্তমানে তিনি কলকাতায় চিকিৎসাধীন।
বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর প্রশাসন নজর রেখেছে, সমস্ত ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্লাবিত হও গ্রামগুলোতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের কে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে।বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানিয়েছেন , প্লাবিত গ্রাম গুলো ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের কে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিলাম।