সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বাংলায় ফের বিপুল সংখ্যক চাকরির সুযোগ। রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলগুলিতে সহকারী-শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শূন্যপদের সংখ্যা তুলে ধরে টেট উত্তীর্ণদের ‘আমন্ত্রণ’ জানাল শিক্ষা মন্ত্রক। জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে রাজ্য়ের সরকারি অনুদান প্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুল ও জুনিয়র বেসিক স্কুলে সহকারী-শিক্ষক নেবে পর্ষদ।
এই নিয়োগের কথা ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আসন্ন শারদীয়ায় বাংলার যুবক-যুবতীদের, শিক্ষক পদপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পুজোর পরেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে সংসদ। সকল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রইল আগাম শুভেচ্ছা।’
সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা এই শূন্যপদের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তফসিলি জাতি-জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে বয়সের ছাড়। আবেদনকারীদের স্নাতক ও প্রাইমারি এডুকেশনে ডিপ্লোমা-সহ হতে হবে টেট উত্তীর্ণ। চাকরি পেতে দিতে হবে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা। যাতে মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে থাকবে ৫ নম্বর। উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে থাকবে ১০ নম্বর। এনসিটিই প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে থাকবে ১৫ নম্বর। টেটের ভিত্তিতে থাকবে ৫ নম্বর। পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষার ভিত্তিতে থাকবে ৫ নম্বর। ইন্টারভিউতে ৫ নম্বর। কেউ যদি এর আগে প্যারা-টিচার থেকে থাকেন, তাঁর অভিজ্ঞতার থাকবে ৫ নম্বর।
পাশাপাশি শুক্রবার ১৩ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার প্রাথমিকে ১৩,৪২১টি শিক্ষক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। এতদিন অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছিল। সেই অনুমোদন এখন মিলেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যে এই পদগুলির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস মেনে বেকার যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, পুজোর পরেই নিয়োগ সংক্রান্ত সব কাজ পুরোদমে শুরু হবে।