সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
দ্বাদশীতেও কালীঘাটে নিজের বাসভবনে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিষ্টি নিয়ে মমতার সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন দলের সাধারণ নেতা কর্মীরা। বিকেল থেকেই তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি পুজোর পর থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে বাংলার সাধারণ মানুষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সর্বদা থেকো মা… সর্বপ্রথম সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। উৎসবের আগামী দিনগুলো আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠুক আপনাদের। জয় মা দুর্গা। জয় বাংলা।
পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার কলকাতার রেড রোডে দুর্গাপূজা কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আজ শনিবার রাজ্যের সমস্ত জেলায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে দুর্গা পুজো কার্নিভাল। যাদের বিভিন্ন জেলার কার্নিভালের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আজ দেবী দুর্গার বিসর্জন উপলক্ষে আমাদের সরকারের উদ্যোগে জেলার পথে পথে হলো জেলার কার্নিভাল- বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা, যা উৎসবের শেষ মুহূর্তকে করে তুলেছে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আবেগঘন। জেলার প্রধান শহরগুলিতে এই বিসর্জনের কার্নিভাল-এর আয়োজন করা হয়েছিল। জেলার সেরা প্রতিমাগুলি সুসজ্জিত ট্রাকে বা ট্যাবলোতে সেজে বিসর্জনের এই বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিসর্জনের এই বিশেষ শোভাযাত্রার কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।’
অন্যদিকে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বাংলা গানের কিংবদন্তি, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তাঁর গাওয়া প্রতিটি গান আজও বাঙালি হৃদয়ে সমানভাবে স্পন্দিত হয়। আমার সৌভাগ্য, আমি তাঁর স্নেহধন্য ছিলাম। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরই আমরা তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গ বিভূষণ’ – এ সম্মানিত করতে পেরেছিলাম। আমরা ধন্য।’